বসির আহাম্মেদ, ঝিনাইদহ প্রতিনিধি ঃ ঘন কুয়াশার চাঁদর মুড়ি দিয়ে এসেছে শীত। শত বাঁধা উপেক্ষা করে কৃষকরা বুকভরা আশা নিয়ে এ বছর আবাদ করেছে সরিষা। ঝিনাইদহ সদর উপজেলার প্রত্যেকটি প্রান্তরে গেলেই চোঁখে পড়ে অবারিত সরিষার ক্ষেত। যেদিকে তাকানো হয় শুধু সরিষার ফুলের সমারোহ। কৃষকদের অব্যহত লোকশানের পরও তাঁরা এ বছর সরিষার আবাদ করেছে প্রাণ খুলে। অল্পদিনের আবাদে কৃষকদের বেশি একটা খরচ হয় না বলে তাঁরা এ আবাদ করে থাকে। আমন ধান উঠার পর পর কৃষকরা জমি চাষ করে অথবা অনেকেই ধানের জমিতে চাষ বাদে সরিষার আবাদ করে থাকে। এ প্রতিবেদকের সাথে কথা হয় সদর উপজেলার বিষয়খালী গ্রামের কৃষক- আনারুলের সাথে। গত বছর এক বিঘা জমিতে সরিষার আবাদ করেছিল। ফলন ও ভাল হয়েছিল। এ বছর প্রায় ২বিঘা জমিতে সে সরিষার আবাদ করেছে। ফুল এসেছে প্রত্যেকটি সরিষার গাছে। যদি আবহাওয়ার তেমন কোন অসুবিধা না হয়, তাহলে কৃষকরা বুকভরা আশা বেঁধেছে। নিজ নিজ চাহিদা মেটানোর পর তাঁরা বিক্রয় করে থাকেন। সরকার দেশের চাহিদা মেটানোর পর বিদেশে রপ্তানি করে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে থাকে। ঝিনাইদহ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়- এ বছর জেলার ৬টি উপজেলায় ৯ হাজার ২শত ২৫ হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ করা হয়েছে। এর মধ্যে দেশী জাত ও উচ্চফলনশীল ১৪, ১৫ ও ১৭ বারীজাত সরিষার আবাদ করেছে কৃষকরা। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে সরিষার ফলন ভাল হবে। এছাড়া এখানকার মাটি সরিষার আবাদের জন্য বিশেষ উপযোগী। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ও ইউনিয়ন উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সরিষা চাষীদের যথাযথ পরামর্শ ও সহযোগীতা করে থাকে।