শামীম শেখ ঃ রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার ৭০ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৬২ টিতেই শহীদ মিনার নেই। স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের মতো গুরুত্বপূর্ণ দিবসগুলোতে এখানকার শিক্ষক -শিক্ষার্থীরা পার্শ্ববর্তী কোন শহীদ মিনারে গিয়ে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন।
বিষয়টি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আলোচনা -সমালোচনা থাকলেও এ বিষয়ে এতদিনেও কার্যকরী কোন পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। এ নিয়ে সুধিমহলে ক্ষোভ ও হতাশা রয়েছে।
উপজেলা প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, গোয়ালন্দ উপজেলাতে ৫ টি কলেজের একটিতেও শহীদ মিনার নেই। ১৭ টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে শহীদ মিনার রয়েছে ৫ টিতে। বাকি ১২ টিতে নেই। এছাড়া ৫১ টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে শহীদ মিনার রয়েছে মাত্র ৬ টিতে। বাকি ৪৫ টিতে নেই।
এ বিষয়ে স্কুল-কলেজের কয়েকজন শিক্ষক বলেন, অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার না থাকা খুবই দুঃখজনক।
গোয়ালন্দ উপজেলার ঐতিহ্যবাহী সরকারি কামরুল ইসলাম কলেজ,রাবেয়া ইদ্রিস মহিলা কলেজ, শহীদ স্মৃতি সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়সহ উপজেলার বড় বড় বেসরকারি উচ্চ বিদ্যালয়গুলোতে শহীদ মিনার না থাকার পেছনে ওই সকল প্রতিষ্ঠান পরিচালনা কতৃপক্ষের সদিচ্ছার অভাব রয়েছে বলে মনে হয়। এখানে অর্থের সংকট থাকার কথা নয়।
এ বিষয়ে গোয়ালন্দ সরকারি কামরুল ইসলাম কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুল হালিম তালুকদার বলেন, বেসরকারি থাকাকালীন অর্থ সংকটে শহিদ মিনার করা যায় ন। কিন্তু সরকারীকরণ হওয়ার পর এখন আমাদের ইচ্ছে মতো অর্থ ব্যয়ের কেন সুযোগ নেই।
গোয়ালন্দ উপজেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মোঃ মোস্তফা মুন্সি বলেন, আমরা গত ১৬ ফেব্রুয়ারি উপজেলা পরিষদের এক সভায় সিদ্ধান্ত নিয়েছি এলজিএসপি প্রকল্পের মাধ্যমে ২০২২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারীর আগেই উপজেলার অবশিষ্ট সবগুলো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার স্থাপন করে ফেলব। বিষয়টি খুবই জরুরি। আরো অনেক আগেই এটা হওয়া দরকার ছিল।