স্টাফ রিপোর্টার ঃ রাজবাড়ী জেলার বালিয়কান্দি উপজেলার নবাবপুর ইউনিয়নের বেরুলী গ্রামের মৃত আকিন উদ্দিনের মেয়ে মোছাঃ হালিমা খাতুন একই গ্রামের আতাহার মৌলিকের পুত্র মুজাম্মেল মৌলিকের সাথে ৩/১২/২০০৭ সালে রেজিঃ কাবিন মুলে মুসলিম শরিয়ত মোতাবেক বিবাহ হয়। তাদের ৭ বছরের একটি কন্যা সন্তান ও ২ মাসের একটি পুত্র রেখে ২য় বিবাহ করে মুজাম্মেল স্ত্রী হালিমাকে ছেলে মেয়েসহ বাড়ী থেকে বের করে দিয়ে স্ত্রী হালিমাসহ ভাইদের ও কাবিন রেজিষ্টার্ড কাজিসহ গ্রামবাসির নামে আদালতে একাধিক মামলা দায়ের করে হয়রানি করছে । মুজাম্মেল ও তার পিতা আতাহার মল্øিক একের পর এক মামলা দায়ের করে হয়রানী করছে। গত ৭/৭/২০২০ মুজাম্মেল বাদি হয়ে কাজিসহ ৬ জনকে আসামী করে একটি মামলা করে মিস পি নং ৪০৩/২০২০। পরের দিন ০৮/০৭/২০২০ তারিখে মুজাম্মেলের পিতা আতাহার মল্লিক বাদি হয়ে মিস পি নং ৪১০/২০২০ ৪জনকে আসামি করে নিবার্হী ম্যাজিষ্টেট আদালতে মামলা দায়ের করে। গত ২৪/৯/২০২০ তারিখে মুজাম্মেল বাদি হয়ে রাজবাড়ী বিজ্ঞ যুগ্ন জেলা জজ ২য় আদালতে দেওয়ানী মামলা নং ৬৮/২০২০ দায়ের করে এই মামলা চলমান আছে। বিজ্ঞ ৪ নং আমলী আদালতে গত ০৯/০২/২০২১ তারিখে গ্রামবাসী সহ ৬জনকে আসামী করে আরও একটি মামলা দায়ের করে। মামলা নং সি আরÑ৪৩/২০২১। মামলটি বালিয়াকান্দি থানার ওসিকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নির্দেশ দিয়েছে আদালত। স্ত্রী হালিমাকে কোর্টের মাধ্যমে তালাকনামা পাঠালে হালিমা গ্রহণ না করে ফেরত দেন । গ্রামবাসি জানিয়েছেন বিবাহের পরে স্বামী মুজাম্মেল স্ত্রীকে প্রলোভন দিয়ে বাপের বাড়ী জায়গা জমির অংশ বিক্রি করে ৫ লক্ষ টাকা দিলে মুজাম্মেল ঢাকায় একটি প্রাইভেট কার ঋনে কিনে ভাড়ায় চালাইতে থাকে।
মুজাম্মেল ঢাকায় আশা নামের এক মেয়ের সাথে পরকীয়ায় জড়িয়ে পরে এবং গত ২৪/১/২০২০ তারিখে বিবাহ করে বালাম নং ০২/১৯,০১/২০ পৃষ্টা নং৯৫ ২য় স্ত্রীকে নিয়ে ২৪/৬/২০২০ তারিখে রাত্র ৭.৩০ মিনিটে বাড়ী এসে ১ম স্ত্রীকে মারপিট করে ৫ লক্ষ টাকা যৌতুক হিসাবে বাপের বাড়ী থেকে নিয়ে আশার জন্য বলে ১ম স্ত্রী হালিমা যৌতুক দেবে না অস্বীকার করলে স্বামী,শুশুড়, ভাসুর দেবর শাশুরী মিলে হালিমাকে মেয়ে ছেলেকে মারপিট করে জখম করে বাড়ী থেকে বের করে দেয়।
৯ নং ওয়াডের মেম্বার আয়ুব আলী জানান, অসহায় হালিমার প্রতি অন্যায় করা হয়েছে হালিমা ঢাকায় চাকরি করে বা বাপের জমি বিক্রয় করে স্বামীকে দিয়েছে এসব আমরা গ্রামবাসি জানি।
নবাবপুর ইউপি চেয়ারম্যান আবুল হাসান আলী জানান, এ ঘটনায় আমার জানা আছে আমি আনন্দ বাজারে শালিসে ছিলাম সেখানে মুজাম্মেল ২য় স্ত্রীকে তালাক দিয়েছে একটি নোটিশ আমাদের দেখায় এবং ২য় স্ত্রীর তালাক দেবার খরচ হিসাবে ১ম স্ত্রীর ভাইদের কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা নেয় ও ১ম স্ত্রীকে সেচ্ছায় ১২ লক্ষ টাকা কাবিন করে দেয় ।
এ বিষয় কাজি আব্দুল কুদ্দুস জানান, চেয়ারম্যান আমাকে ফোন করে আমি আনন্দ বাজারে গেলে বেরুলী গ্রামবাসীসহ প্রায় ৫ শতাধিক মানুষের উপস্থিতিতে সেখানে মুজাম্মেল ও মুজাল্মেলের বড় ভাই নিয়ামত ভগ্নিপতি মিজান মিলে সেচ্ছায় ১২ লক্ষ টাকা কাবিন করে দেবে ১ম স্ত্রী হালিমাকে এবং আমাকে কাবিন করতে বললে আমি কাবিন রেজিষ্ট্রি করি ।