রুবেলুর রহমান ঃ রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে তৃতীয় শ্রেনীতে পড়ূয়া এক স্কুল ছাত্রীকে অপহরণ ও ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামী মনির খানকে (৩৭) যাবজ্জীন কারাদন্ডাদেশ দিয়েছেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল।
এ সময় মামলার রায়ে দন্ডপ্রাপ্ত আসামী মনির আদালতে অনুপস্থিত ছিল। তবে মামলার অপর দুই আসামীকে খালাস দেয়া হয়। মামলায় রায়ে প্রধান আসামী মনিরকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৭ ধারায় ১৪ বছরের জেল এবং ৯ (১) ধারায় যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ৬ মাসের কারাদন্ড দেয়া হয়। মঙ্গলবার দুপুর ১২ টার দিকে রাজবাড়ী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের বিচারক শারমিন নিগার এ রায় দেন। দন্ডপ্রাপ্ত আসামী, মনির খান শরীয়তপুর জেলার নড়িয়ার শুভগ্রামের মৃত আমির হোসেনের ছেলে।
মামলার এজাহার সুত্রে জানাযায়, গোয়ালন্দ উপজেলার বাহাদুর পুর গ্রামের তৃতীয় শ্রেনীতে পড়ূয়া শিক্ষার্থী প্রাইভেট পড়ে বাড়ীতে আসার সময় ২০১৬ সালের ১০ ফেব্রুয়ারী সকাল সোয়া ১০টার দিকে স্থানীয় দারোগ আলীর মেয়ে জুলি (১৮) ও জুলির মা আনোয়ারা বেগমের (৪২)র যোগসাজসে ফুসলিয়ে মাইক্রোবাসে অপহরণ হয় । পরে অনেক খুজাখুজি করে ওই স্কুল ছাত্রীকে পাওয়া যায়নি। ২০১৭ সালের ১৩ মে হঠাৎ অপহৃত স্কুল ছাত্রী ফোন করে তার পরিবারের কাছে এবং বলে আমাকে বাঁচাও। জলি আপা ও তার মা আমাকে ভুল বুঝিয়ে মনিরসহ অন্যান্যদের কাছে তুলে দিয়েছে। এ সময় মনিরের স্বজনদের সহযোগিতায় ঢাকা, শরীতপুরসহ মনিরের বাড়ীতে নিয়ে রাখে। ওই দিন অপহৃত স্কুল ছাত্রীর মা বাদী হয়ে গোয়ালন্দ ঘাট থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন।
রাজবাড়ী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর এ্যাডঃ উমা সেন বলেন, দীর্ঘ স্বাক্ষ্য প্রমান শেষে মামলার রায় হয়েছে। এ রায়ে তিনি ও ওই পরিবার খুশি। এতে মামলার প্রধান আসামী মনিরকে ৭ ধরায় অর্থাৎ অপহরণ মামলায় ১৪ বছরের জেল ও ৯(১) ধারা অর্থাৎ ধর্ষণ মামলায় যাবজ্জীবন এবং ১০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে ৬ মাসের কারাদন্ড দেয়া হয়। এছাড়া দুই আসামীকে খালাস দিয়েছে আদালতের বিচারক। রায়ের সময় দন্ডপ্রাপ্ত আসামী অনুপস্থিত ছিল।