মাসুদ রেজা শিশির : বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি পাংশা উপজেলার শাখার নির্বাচন অনুষ্টিত হবে আগামী ২৮ জুন। এ নির্বাচনকে ঘিরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মধ্যে চলছে নানা সমিকরণ। কে বা কাহারা হবেন আগামী দিনের শিক্ষকদের নেতা তা নিয়ে সর্বত্রই চলছে বিশ্লেষন। নির্বাচনের তফসীল ঘোষনার পর পরই দেখা যায় ২টি আলাদা প্যানেলে শিক্ষকদের নির্বাচনী প্রচারনা। সেই সাথে প্যানেল ছাড়াও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে সাধারণ সম্পাদক পদে ২ জন প্রার্থী প্রচারনায় ছিলেন। বিভিন্ন প্রচারের সময় দেখা গিয়েছে একটি প্যানেল সাগর, সরজিত, মিজান, মালেক পরিষদ, অপর প্যানেল জহুরুল, আরিফ পরিষদ। এ ছাড়াও আমিরুল ইসলাম ও কাজী সামসুল সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচনের মাঠে রয়েছেন।
এদিকে অভিযোগ উঠেছে একজন সভাপতি প্রার্থী তিনি নির্বাচন বানচাল করতে আদালতে দরখাস্ত হয়েছেন। সেখানে পাংশা ও কালুখালী উপজেলার ২ শিক্ষা অফিসারসহ ১০ জনের নাম উল্লেখ করে আদালতে মামলা দায়ের জন্য আবেদন দিয়েছেন। সেই আবেদনের একটি কপি এ প্রতিবেদকের নিকট গচ্ছিত রয়েছে। সেখানে প্রেমটিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক একেএম শরীফুল হুদা সাগর বাদী হয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার মোঃ হাবিবুর রহমান মোল্লা, বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি মোঃ আবুল কাশেম, সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান শাহিন, নির্বাচন কমিশনার মোঃ নাজমুল ইমাম, শ্রেষ্ট শিক্ষক শহিদুল ইসলাম, সভাপতি পদ প্রার্থী জহুরুল হক, সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী আরিফুল ইসলাম, মোঃ জাহিদুল ইসলাম গগন, কালুখালী উপজেলা শিক্ষা অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) ও পাংশা উপজেলা শিক্ষা অফিসার কেএম নজরুল ইসলামকে বিবাদী করা হয়েছে। বর্ণিত তফসীল অনুযায়ীয় আগামী ২৮ জুন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ১৩ জুন ছিল মনোনয়ন পত্র বাছাইয়ের শেষ দিন, ১১ জুন ছিল মনোনয়নপত্র জমা দানের শেষ দিন।
এ ব্যাপারে পাংশা উপজেলার একাধিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সাথে কথা হলে তারা বলেন, বিগত নির্বাচনের পর থেকেই সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক আলাদা আলাদা বলয় নিয়ে শিক্ষকদের সমস্যায় কাজ করেছেন। বিগত কমিটির সাধারণ সম্পাদক এবার সভাপতি প্রার্থী হওয়ার পর থেকেই এ নির্বাচন বানচালের পায়তারা চলছে বলে শিক্ষকদের অভিমন।
এদিকে সহকারী শিক্ষক সভাপতি পদে নির্বাচন করতে পারবে না এমন অভিযোগের ভিত্তিত্বে গঠনতন্ত্রের আলোকে নির্বাচন স্থগিত করেছিল নির্বাচন কমিশন। পূনরায় গঠন তন্ত্রের আলোকেই পূনরায় নির্বাচনের তফসীল ঘোষণা করা হয়েছে বলে জানান প্রধান নির্বাচন কমিশনার মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান মোল্লা।
এ ব্যাপারে সভাপতি প্রার্থী মোঃ জহুরুল হক বলেন, প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির নির্বাচনে আমরা প্যানেল দিয়েছি সাবেক সভাপতি সাগর তারাও প্যানেল দিয়েছেন। হটাৎ নির্বাচন বন্ধ করতে আদালতে গিয়েছেন একেএম শরীফুল হুদা সাগর আমরা শুনেছি। তবে আমাদের শিক্ষকরা আগামী ২৮ জুন নির্বাচনের লক্ষেই মাঠে কাজ করছেন আশাকরি নির্বাচনের মাধ্যমেই সকল সমস্যার সমাধান হবে।
এ ব্যাপারে একেএম শরীফুল হুদা সাগরের মুঠোফোনে একাধিক বার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
এ ব্যাপারে কালুখালী উপজেলা শিক্ষা অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ আব্দুর রশিদ বলেন, আমি কি শিক্ষক আমার নামে মামলা দিবে। শিক্ষক সমিতির নির্বাচন, এটা শিক্ষকদের ব্যাপার, এখানে আমাদের কিছু নাই।