রুবেলুর রহমান : জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধিতে ভাড়া জটিলতায় রাজবাড়ীতে সড়কে কমেছে দুরপাল্লা ও লোকাল রুটের বাস চলাচল।
শনিবার (৬ আগস্ট) সকাল ১১টা পর্যন্ত রাজবাড়ী থেকে দুরপাল্লার বাস রাবেয়া, জামান পরিবহন সঠিক সময়ে ছেড়ে গেলেও শিডিউল বিপর্যয়ে পড়েছে এমএম, সোহার্দ্য সহ অন্যান্য পরিবহন। এছাড়া রাজবাড়ী-দৌলতদিয়া, ফরিদপুর, কুষ্টিয়া রুটে সীমিত চলছে লোকাল বাস।
এদিকে সরকার বা পরিবহন সেক্টর দ্বারা ভাড়া নির্ধারণ না করলেও দুর পাল্লার পরিবহন এমএম ও লোকাল রুটের যাত্রীদের থেকে বাড়তি ভাড়া আদায় করা হয়েছে।
পরিবহন সেক্টরের দ্বায়িত্বরতরা বলছেন, যাত্রীদের বুঝিয়ে কিছু বাড়তি ভাড়া নেয়া হচ্ছে। তবে চাপ দিয়ে না। আজকের দিন এভাবেই চালাবেন। এছাড়া অনেক পরিবহন গাড়ি বন্ধ রেখেছেন। এছাড়া ভাড়া নির্ধারণ না হলে গাড়ি বন্ধ থাকবেন।
নাম প্রকাশে অনিইচ্ছুক লোকাল রুটের কয়েকজন বাসের সুপার ভাইজার ও চালকরা বলেন, প্রতিদিন রাজবাড়ী, কুষ্টিয়া, ফরিদপুর ও দৌলতদিয়া রুটে সব মিলিয়ে ১৬০টি টিপ হয়। শনিবার সকাল ১১ টা পর্যন্ত প্রায় ৭০ টিপের মধ্যে ছেড়ে গেছে ৩০-৩৫টি টিপ। ভাড়া বেশি চাইলে যাত্রীরা চার্ড দেখতে চায়। কিন্তু এখনও ভাড়ার চার্ড হয়নি। তাই অনেক গাড়ি বন্ধ আছে। তবে যেসব গাড়ি চলাচল করছে, তারা যাত্রীদের বুঝিয়ে সামান্য কিছু টাকা বেশি নিচ্ছে।
যাত্রী আলিম মিয়া বলেন, তিনি আগেই টিকেট নিয়েছিলেন। সে ভাড়াতেই যাচ্ছেন। আগামীতে কি হবে বুঝতে পারছেন না। শুধু তেল না, এখন সকল দ্রব্যমূল্যের উর্দ্ধগতি। চাপ পড়ছে সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের উপর।
আরেক যাত্রী হুমায়ুন কবির বলেন, ফরিদপুরের ভাড়া আগে ৫০ টাকা নেয়া হতো। কিন্তু আজ ৬০ টাকা নেয়া হচ্ছে, চার্ড ছাড়াই। তাছাড়া দৌলতদিয়ার ভাড়াও বাড়তি নিচ্ছে বাসগুলো। সব ঝামেলা সাধারণ মানুষের।
এমএম পরিবহনের ম্যানেজার আলম বলেন, দিনে তাদের ৬টা টিপের মধ্যে সকাল থেকে এখন পর্যন্ত ২টা টিপ ছেড়ে গেছে। আগে ৩শ টাকা নেয়া হলেও আজ সাড়ে ৩শ টাকা নেওয়া হচ্ছে। তবে সেটা যাত্রীদের বুঝিয়ে নিচ্ছেন।
রাজবাড়ীর বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোঃ মুরাদ হাসান বলেন, এখনও ভাড়া নির্ধারণ হয়নি। কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের আলোকে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। তবে তেলের দাম যেহেতু বেশি, সে কারণে হয়তো কিছু গাড়ি মালিকরা বন্ধ রাখবে। কিন্তু তারা চান সব গাড়ি রাস্তায় চলুক। তেলের দাম বাড়লেও আজও রাজবাড়ী থেকে দুরপাল্লার অনেক গাড়ি ছেড়ে গেছে।