স্টাফ রিপোর্টার : রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ আলহাজ্ব নিজামিয়া আরাবিয়া কাওমি মাদ্রাসার মুহতামিম (অধ্যক্ষ) এর তত্বাবধানে পরিচালিত আনিকা এভিয়েশন ট্রাভেল এন্ড হজ¦ এজেন্টের বিরুদ্ধে হজ¦ যাত্রীদের হয়রানি ও ভোগান্তির অভিযোগ পাওয়া গেছে।
চলতি বছর রাজবাড়ী জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে ৬০ জন হজ¦যাত্রী আনিকা এভিয়েশনের মাধ্যমে সৌদি আরবে যান। হাজীদের নিম্নমানের পুরনো আবাসিক বিল্ডিংকে হোটেল দেখিয়ে উক্ত বিল্ডিংয়ে রাখা হয়। এসি ব্যবস্থাও ভালো না। আবাসিক ভবনে ফ্যান ছিল না। প্রচন্ড গরমে হাজীরা যখন ক্লান্ত হয়ে অভিযোগ জানান, তারপর আনিকা এভিয়েশনের ম্যানেজিং পার্টনার মাওঃ আমিনুল ইসলাম (কাশেমী) এর লোকেরা জানান, ইহকালে হজ করতে এসে কষ্ট করিলে পরকালে দ্বিগুন শান্তি পাওয়া যায়। হজ¦ এজেন্সীর সরবারহকৃত খাবারও ছিল নিম্নমানের। আবাসিক এলাকার ৯ জন হাজীর জন্য মাত্র ১টি টয়লেটের ব্যবস্থা ছিল। মক্কা শরীফের নিকটে হজ¦ যাত্রীদের রাখার কথা থাকলেও অনেক দূরবর্তী আবাসিক ভবনে তাদেরকে রাখা হয়। সম্প্রতি হজ¦ শেষে দেশে ফেরত এসে বিশিষ্ট শিল্পপতি প্রকৌশলী ডিএম মজিবর রহমান অভিযোগে এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, আনিকা এভিয়েশন তাদের সাথে প্রতারণ করেছেন। হজ¦যাত্রীদের অনেক সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার কথা বলে সৌদি আরবে গিয়ে তাদের কোন কর্মীদের সহজে খুজে পাওয়া যায় না।
এ ব্যাপারে গোয়ালন্দ আলহাজ্ব নিজামিয়া আরাবিয়া কাওমি মাদ্রাসার মুহতামিম (অধ্যক্ষ) মাওঃ আমিনুল ইসলাম (কাশেমী) বলেন, রাজবাড়ী জেলার হাজীদের হজ¦ করার জন্য ২য় শ্রেণীর যাত্রীদের সেবার জন্য হাজীদেরকে পূর্ব থেকেই জানানো হয়েছে। ভাজনচালা মাদ্রাসার মুহতামিম মাওঃ ইলিয়াছ প্রকৌশলী ডিএম মজিবর রহমানকে হজে¦র ব্যাপারে আলোচনার পর সৌদি আরবে নেওয়া হয়। সৌদি আরবে গিয়ে তার অভিযোগের পর সর্বাত্বক উন্নতমানের সেবা দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, আনিকা এভিয়েশন এর ম্যানেজিং পার্টনার মাওঃ আমিনুল ইসলামের রাজবাড়ী জেলায় বিভিন্ন মাদ্রাসার মাধ্যমে একটি সিন্ডিকেট চক্র হজ¦যাত্রীদের নিয়ে প্রতিবছর বানিজ্য করছেন।