বালিয়াকান্দি প্রতিনিধি : রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দিতে আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে প্রতিমা কারিগররা ব্যস্ত সময় পার করছেন। সময় যতই ঘনিয়ে আসছে কাজের চাপও বেড়ে যাচ্ছে প্রতিমা তৈরির কারিগরদের। এখন তাদের দম নেওয়ার সময় নেই বলে কারিগররা জানান। প্রতিদিন ১৭ থেকে ১৮ঘন্টা কাজ করতে হচ্ছে তাদের। তবে পারিশ্রমিক নিয়েও সন্তষ্ট আছেন তারা।
বালিয়াকান্দি উপজেলার বিভিন্ন পূজা মন্দির ঘুরে দেখা গেছে, বেশিরভাগ মন্দিরেই প্রতিমা তৈরিতে মাটির কাজ অনেকটাই শেষের দিকে। বেশ কিছু পূজাস্থানে অস্থায়ীভাবে মন্ডপ তৈরি করা হয়েছে। এদিকে পুজোর যে ক’দিন বাকি রয়েছে, সেই ক’দিন কারিগরদের ব্যস্ত সময় পার করতে হচ্ছে। কারিগর দিভাষ চন্দ্র পাল বলেন, এ বছর সর্বনিম্ন ৪০ হাজার টাকায় প্রতিমা বানাচ্ছি। এরমধ্যে ৮০ হাজার টাকার প্রতিমা রয়েছে ৩টি। তার হাতে মোট ৮ টি প্রতিমার কাজ রয়েছে।
আরেক কারিগর কৃষ্ণ পাল জানান, এ বছর তিনি ১২টি প্রতিমার কাজ নিয়েছেন। প্রতিটি প্রতিমা তৈরি করতে নিচ্ছেন ২০ হাজার টাকা থেকে ৬০ হাজার টাকা পর্যন্ত। এরমধ্যে বালিয়াকান্দি কেন্দীয় মহাশশ্বানে ১টি ও গ্রামাঞ্চলে ১১টি প্রতিমা তৈরি করছেন তিনি। তিনি বলেন, এবছর জিনিসপত্রের দাম বাড়ার কারণে এই টাকা নেওয়ার পরও আমার হাতে সামান্য কিছু টাকা থাকতে পরে। আমার সাথে আরও তিন জন সহযোগী আছে, টাকার একটি বড় অংশ তাদের দিতে হবে। ফলে, হাতে যা থাকবে তা নগন্যই।
বালিয়াকান্দি পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি রাম গোপাল চট্রপাধ্যায় জানান, এবছর বালিয়াকান্দি উপজেলায় ১৫২ টি মন্দিরে শারদীয় দুর্গপূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এর মধ্যে জামালপুর ইউনিয়নে ২৯টি, বহরপুর ইউনিয়নে ২৪টি, ইসলামপুর ইউনিয়নে ১০টি, নবাবপুর ইউনিয়নে ১৮টি, নারুয়া ইউনিয়নে ৪টি, জঙ্গল ইউনিয়নে ৪৬টি, ও বালিয়াকান্দি সদর ইউনিয়নে ২১টি মন্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হবে।
বালিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাহী অফিসার আম্বিয়া সুলতানা বলেন, এবার উপজেলার ১৫২টি মন্দিরে পূজা অনুষ্ঠিত হবে। এ বিষয়ে আমরা ইতিমধ্যেই প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। এছাড়া আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনি পূজার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছে।