স্টাফ রিপোর্টার : পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে দ্রুত মুক্তির আদেশ দিয়েছেন দেশটির সুপ্রিম কোর্ট। বৃহস্পতিবার দেশটির সর্বোচ্চ আদালত এমন নির্দেশ দেয়। এর আগে আল-কাদির ট্রাস্ট মামলায় পিটিআই চেয়ারম্যান ইমরান খানের গ্রেফতারকে অবৈধ বলে দেশটির সুপ্রিম কোর্ট।
পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি উমর আতা বন্দিয়াল ইসলামাবাদ হাইকোর্টের প্রাঙ্গণ থেকে পিটিআই নেতার গ্রেফতারকে দেশটির বিচার বিভাগীয় প্রতিষ্ঠানের জন্য একটি প্রচণ্ড অসম্মান বলে অভিহিত করার পরে ওই মুক্তির নির্দেশ আসে।
জিও নিউজ জানিয়েছে, পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) দলের জন্য একটি বড় স্বস্তির সংবাদ এসেছে। আল-কাদির ট্রাস্ট মামলায় চেয়ারম্যান ইমরান খানের গ্রেফতারকে দেশটির সুপ্রিম কোর্ট “অবৈধ” ঘোষণা করেছে এবং কর্তৃপক্ষকে তাকে “অবিলম্বে” মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।
পিটিআই প্রধানকে আদালতে হাজির করার পরপরই এই আদেশ আসে। কড়া নিরাপত্তার মধ্যে ১৫টি গাড়ির বহরে করে তাকে আদালতে আনা হয়।
ইমরান খানের গ্রেফতারকে চ্যালেঞ্জ করে পিটিআইয়ের আবেদনের শুনানি করার সময় তিন সদস্যের বেঞ্চের নেতৃত্বে ছিলেন প্রধান বিচারপতি উমর আতা বন্দিয়াল। বন্দিয়াল ছাড়াও ওই বেঞ্চে রয়েছেন বিচারপতি আতহার মিনাল্লাহ ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলি মাজহার।
শুনানির শুরুতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরানের আইনজীবী হামিদ খান আদালতকে জানান যে পিটিআই চেয়ারম্যানের অন্তর্র্বতী জামিনের মেয়াদ বাড়ানোর জন্য ইসলামাবাদ হাইকোর্টে গিয়েছিলেন। সাবেক প্রধানমন্ত্রী যখন কোর্টে প্রবেশ করছিলেন, তখন রেঞ্জার্স সদস্যরা আদালত কক্ষে ঢুকে পড়েন।
হামিদ খান বলেন, ‘ইমরান খানের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেছেন রেঞ্জার সদস্যরা। তারা তাকে জোরপূর্বক গ্রেফতার করেছে।’
ওই সময় পিটিআই (পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ) দলের প্রধান যে মামলায় জামিনের মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন করেছেন সে বিষয়ে খোঁজ-খবর নেন পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি উমর আতা বন্দিয়াল। এরপর তিনি বলেন, আল-কাদির ট্রাস্ট মামলায় চেয়ারম্যান ইমরান খানের গ্রেফতার অবৈধ।
পিটিআই (পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ) চেয়ারম্যানকে গ্রেফতারের পরেই সারা দেশে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে এবং সহিংসতায় ১০ জন প্রাণ হারান।
এসব বিক্ষোভ থেকে দুই হাজারেরও বেশি ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে।
ইমরান খানের গ্রেফতারের ঘটনায় সামরিক বাহিনীর সঙ্গে তার উত্তেজনা বৃদ্ধি পাওয়ার মধ্যেই সর্বোচ্চ আদালত থেকে তাকে মুক্তির আদেশ দেওয়া হলো।