স্টাফ রিপোটার : রাজবাড়ী সদর উপজেলার চর জৌকুড়া আল জামেয়া ইসামিয়া মাদ্রাসার দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ৬ ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি জানাজানি হলে অভিযুক্ত দুই শিক্ষক রাজবাড়ী সদর উপজেলার মহাদেবপুর চেয়ারম্যানের বটতলা এলাকার মজিবর খানের ছেলে হাফেজ আঃ মমিন ও পাংশা উপজেলার জোনা পাট্টা গ্রামের হাফেজ আল আমিন আত্নগোপন করেছেন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সরেজমিন রাজবাড়ী সদর উপজেলার মিজানপুর ইউনিয়নের চর জৌকুড়া আল জামেয়া ইসামিয়া মাদ্রাসা গেলে ছাত্ররা জানায়, দুই শিক্ষক হাফেজ আঃ মমিন ও হাফেজ আল আমিন মোবাইলের কার্টুন দেখিয়ে বিভিন্ন রকম ভয়ভীতি দেখিয়ে রাতের বেলা দীর্ঘ দেড় বছর ধরে পদ্মা নদীর পাড়ে নিয়ে ৬জন ছাত্রকে বলাৎকার করে। অভিভাবকের কাছে না বলার জন্য ভয়ভীতি দেখান। মাদ্রাসা ছুটির পর ছাত্ররা বাড়ীতে গিয়ে তাদের অভিভাবকদেরক জানালে ঘটনার প্রকাশ হয়। এরপর আর ওই দুজন মাদ্রাসায় আসছেন না।
স্থানীয় এক অভিভাবক বলেন, এ মাদ্রাসার কোন কমিটি না থাকায় শিক্ষকগণ অপকর্মের সাহস পায় । আমরা এলাকাবাসী মিলে মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করলেও পরিচালনা কমিটির সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার হাফিজুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক সামসু মন্ডল ঢাকায় থাকেন। ৬জন ছাত্রকে বলাৎকারের বিষয়টি প্রকাশ পাওয়ায় ওই দুই শিক্ষক আত্নগোপন করেছে। বিষয়টির একটি সুষ্টু বিচার হওয়া প্রয়োজন। তবে এ বিষয়ে প্রশাসনের কাছে কেউ মান-সম্মানের ভয়ে অভিযোগ দায়ের করেনি।
পরিচালনা কমিটির সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার হাফিজুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক সামসু মন্ডলের মোবাইলে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তারা ফোন রিসিভ করেননি। অভিযুক্ত হাফেজ আল আমিন ও হাফেজ আঃ মমিন মোবাইল ফোন বন্ধ করে আত্মগোপনে রয়েছে।
রাজবাড়ী সদর থানার ওসি মোঃ শাহাদাত হোসেন বলেন, এ বিষয়ে কেউ কোন অভিযোগ দায়ের করেনি। বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।