মোঃ আমিরুল হক : রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলা কৃষি অফিসের উদ্দ্যোগে ক্লাইমেট স্মার্ট এগ্রিকালচারাল এন্ড ওয়াটার ম্যানেজমেন্ট (সিএসএমডব্লিউএম) (ডিএই পার্ট) শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় সাব প্রকল্পভূক্ত এলাকায় কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রদর্শনীভুক্ত কৃষকের মাঝে কৃষি উপকরণ বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ মে) দুপুরে বালিয়াকান্দি উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে উপজেলা কৃষি অফিসের আয়োজন কৃষি উপকরণ বিতরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
উপজেলার ৪টি ইউনিয়নের ২৪৩ জন কৃষকের মাঝে জলবায়ু সহনশীল ফসল উৎপাদন প্রকল্প, উচ্চ মূল্য ফসল উৎপাদন প্রদর্শণী ও ভার্মি কম্পোস্ট প্রদর্শনী প্রকল্পে জৈব সার, রাসায়নিক সার, বীজ বিতরণ করা হয়। এসময় উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ রফিকুল ইসলাম সহ কৃষি বিভাগের সকল কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। উপজেলার ৪টি ইউনিয়নের ২৪৩ জন কৃষকের মধ্যে কৃষি পণ্য বিতরণ করে এবং উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিভিন্ন দিক নির্দেশনা মূলক পরামর্শ প্রদান করেন।
পরে ২০২২-২৩ অর্থ বছরে সমন্বিত ব্যবস্থার মাধ্যমে কৃষি যান্ত্রিকীকরণের ভর্তূকি কার্যক্রমের আওতায় দুইটি হার্বেষ্টার মেশিন বিতরণ করেন। হার্বেষ্টার মেশিন বিতরণ অনুষ্ঠাণে উপকারভোগীর হাতে হার্বেষ্টারের চাবি হস্তান্তর করেন। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম আজাদ। এসময় উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ হাসিবুল হাসান, এসিআইয়ের এ্যাসিসটেন্ট জেনারেল ম্যানেজার (দক্ষিণবঙ্গ) মোঃ আতিয়ার রহমান, ইসলামপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা তৌহিদুল ইসলাম মোল্লা প্রমূখ।
কৃষিবিদ মোঃ রফিকুল ইসলাম বালিয়াকান্দিতে কৃষির ব্যাপক উন্নতি হয়েছে। তিনি বিভিন্ন ইউনিয়নের প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বহু প্রকার যান্ত্রিক সরঞ্জাম বিতরণের ব্যবস্থা করেছেন। এরই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার দুপুরে সরকারি ভর্তুকি মূল্যে দুইটি হার্বেষ্টার মেশিন প্রদান করেন। উপকারভোগী কৃষক হলেন, ইসলামপুর ইউনিয়নের শ্রীরামকান্দী গ্রামের নাসিরুল কালাম সুজন ও বারমল্লিকা গ্রামের আহমদ আলী মাস্টার। তারা হার্বেষ্টার পেয়ে আনন্দিত। গাড়ীটির মূল্য ৩৯ লাখ টাকা। এরমধ্যে সরকার ভর্তূকি দিচ্ছেন ১৫ লাখ ৭৫ হাজার টাকা। বাঁকী ২৩ লাখ ২৫ টাকা মধ্যে কিছু এককালীন প্রদান করবেন আর কৃষক কিস্তির মাধ্যমে পরিশোধ করার সুযোগ পাবেন।