স্টাফ রিপোর্টার : রাজবাড়ীতে রবিবার বিকেলে জেলা শিল্পকলা একাডেমী সম্মাননা প্রদান ও সাংস্কৃতিক উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। জেলা শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক ও জেলা শিল্পকলা একাডেমীর সভাপতি আবু কায়সার খান। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজবাড়ী-১ আসনের সংসদ সদস্য কাজী কেরামত আলী। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ কে এম শফিকুল মোরশেদ আরুজ, পুলিশ সুপার এমএম শাকিলুজ্জামান, সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইব্রাহিম টিটন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সূবর্ণা রানী সাহা, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ্যাড. ইমদাদুল হক বিশ^াস ও জেলা আওয়ামীলীগের সহসভাপতি হেদায়েত আলী সোহরাব।
সভায় ২০১৯, ২০২০ ও ২০২১ সালের সাংস্কৃতিক অঙ্গণে বিশেষ অবদান রাখায় ব্যক্তি ও সংগঠনকে সম্মাননা প্রদান করা হয়। সম্মাননা প্রাপ্তদের উত্তরীয়, সনদপত্র ও নগদ ১০ হাজার টাকা করে প্রদান করা হয়। সম্মাননা প্রদান শেষে সাংস্কৃতিক উৎসবে নাচ, গান পরিবেশন করা হয়।
২০১৯ সালের সম্মাননাপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলেন নাট্যকলায় গোলাম মওলা, সৃজনশীল সাংস্কৃতিক সংগঠক ডা. সুনীল কুমার বিশ^াস, কণ্ঠ সংগীত ননী গোপাল বিশ^াস, যাত্রা শিল্প শামসুদ্দিন বিশ^াস ও নৃত্যকলা শ্রাবণী গুহ। ২০২০ সালের সম্মাননা পাওয়া ব্যক্তিরা হলেন নাট্যকলায় ওয়ালিউর হাসান, যাত্রাশিল্প শেখর রায়, কণ্ঠ সংগীত উত্তম কুমার গোস্বামী, লোকসংস্কৃতি আজমল হোসেন এবং সৃজনশীল সাংস্কৃতিক সংগঠন স্বদেশ নাট্যাঙ্গন। ২০২১ সালের সম্মাননা পাওয়া ব্যক্তিরা হলেন সৃজনশীল সাংস্কৃতিক সংগঠক নির্মল কুমার চক্রবর্তী, নাট্যকলা লিটু করিম, আবৃত্তি অপূর্ব সাহা, কণ্ঠ সংগীত জান্নাতুল ফেরদৌস ও যন্ত্র সংগীত বিশ^জিৎ বিশ^াস।
বক্তারা বলেন, সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে রাজবাড়ীর একটি ঐতিহ্য রয়েছে। গুণীজনরা রাজবাড়ীর সাংস্কৃতিক অঙ্গনকে বিভিন্ন ভাবে সমৃদ্ধ করেছেন। যে দেশে গুণের সমাদর নেই, সে দেশে গুণি জন্মাতে পারে না। এই জেলাতে বাংলাদেশের কৃষ্টি-কালচার, ইতিহাস, ঐতিহ্য সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন। সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড বেগবান করেছেন।