সোহেল রানা : রাজবাড়ীর কালুখালী থানা পুলিশের কর্ম তৎপরতায় মানুষিক প্রতিবন্ধী রুবেল মন্ডল ওরফে মোয়া (২৬) হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন। পুত্রকে হত্যার অভিযোগে পুলিশ হত্যাকারী পিতা মোঃ খলিলুর রহমানকে গ্রেপ্তার করেছে। রবিবার সন্ধ্যায় রাজবাড়ী আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি প্রদান করেছেন। খলিলুর রহমান কালুখালী উপজেলার বোয়ালিয়া গ্রামের মৃত তাছের মন্ডলের ছেলে।
কালুখালী থানার ওসি প্রাণ বন্ধু চন্দ্র বিশ^াস বলেন, গত ২৪ আগস্ট সকাল অনুমান ৬ টার সময় কালুখালী উপজেলার মোহনপুর গ্রামের রাজবাড়ী-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়ক সংলগ্ন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স রোডের দক্ষিণ পাশে ধলু মন্ডলের ধান ক্ষেতের উত্তর পূর্ব কোনায় পানির মধ্যে বোয়ালিয়া গ্রামের মোঃ খলিলুর রহমানের ছেলে মানুষিক প্রতিবদ্ধী রুবেল মন্ডল ওরফে মোয়া (২৬) মৃতদেহ পাওয়া যায়। এ ব্যাপারে রুবেল মন্ডল ওরফে মোয়ার মামা মোঃ দেলোয়ার হোসেন (দিনু) বাদী হয়ে থানায় অজ্ঞাতনামা আসামীদের বিরুদ্ধে কালুখালী থানার মামলা দায়ের করেন।
ওসি বলেন, হত্যা মামলাটি কালুখালী থানা পুলিশ নিবিড়ভাবে তদন্ত শুরু করেন। উদ্ধর্ত্বন কর্তৃপক্ষের সার্বিক দিকনির্দেশনায় মামলার কালুখালী থানা পুলিশের একটি চৌকস টিম অভিযান পরিচালনা করে শনিবার রাত ১০টার সময় ঢাকার জেলার আশুলিয়া থানার ডেন্ডাবর এলাকা থেকে হত্যাকান্ডে জড়িত আসামী মোঃ খলিলুর রহমান(৬৯) কে গ্রেপ্তার করে। আসামী মোঃ খলিলুর রহমান নিহত রুবেল মন্ডল ওরফে মোয়ার পিতা হয়।
ওসি আরও বলেন, রুবেল মন্ডল ওরফে মোয়ার জন্মের পর তার পিতা-মাতার মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। ছোট বেলা থেকে রুবেল মন্ডল মোয়া তার মামার বাড়ীতে বড় হয়। আসামী মোঃ খলিলুর রহমানকে রবিবার রাজবাড়ী আদালতে সোপর্দ করা হলে আদালতে নিজের ছেলেকে নিজেই প্রথমে সেভেনআপের মধ্যে ঘুমের ঔষধ খাওয়ানোর পর অচেতন হয়ে পড়লে পরে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর পানির মধ্যে ফেলে রাখার কথা স্বীকার করে ১৬৪ ধারা মোতাবেক স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন। পরে তাকে কারাগারে পাঠিয়েছে।