• শুক্রবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩, ১০:০২ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
জমি নিয়ে বিরোধের জের : বালিয়াকান্দিতে প্রকাশ্যে দিবালোকে ১০ লক্ষাধিক টাকার ফসল বিনষ্ট : থানায় অভিযোগ পাংশা প্রতিবন্ধী স্কুল : নানা অনিয়মের সত্যতা মিললেও দীর্ঘ৪ মাসেও কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি পাংশায় জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন উপলক্ষে অবহিতকরণ ও পরিকল্পনা সভা বালিয়াকান্দিতে ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন উপলক্ষে অবহিতকরণ ও পরিকল্পনা সভা টার্গেট ১ লক্ষ ৩৬ হাজার ২৩৪ শিশু : রাজবাড়ীতে জাতীয় ভিটামিন “এ” প্লাস ক্যাম্পেইন ১২ ডিসেম্বর সংসদ নির্বাচনে রাজবাড়ী-২ আসনের প্রার্থীর হলফনামা : জাকের পার্টির প্রার্থী মোহাম্মদ আলী নির্বাচন করছেন ২০৬০ টাকায় সংসদ নির্বাচনে রাজবাড়ী-২ আসনের প্রার্থীর হলফনামা : আইন পেশায় নিয়োজিত জাপার প্রার্থী শফিউল খান কৃষির উপর নির্ভরশীল সংসদ নির্বাচনে রাজবাড়ী-১ আসনের প্রার্থীর হলফনামা : তৃনমূল বিএনপি’র অপর প্রার্থী সুলতান ২১শত টাকা নিয়ে নির্বাচনী মাঠে সংসদ নির্বাচনে রাজবাড়ী-১ আসনের প্রার্থীর হলফনামা : তৃনমূল বিএনপির প্রার্থী দেওয়ান মজিবর রহমান কোটিপতি বালিয়াকান্দিতে গাঁজাসহ একাধিক মামলার ২ আসামী গ্রেপ্তার

প্রার্থীর যোগ্যতা নিয়ে ইসির পরিপত্র জারি

প্রতিবেদকঃ / ৪৮ পোস্ট সময়
সর্বশেষ আপডেট শুক্রবার, ১৭ নভেম্বর, ২০২৩

স্টাফ রিপোর্টার : দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য প্রার্থীদের ক্ষেত্রে যোগ্যতা, অযোগ্যতা ও নির্বাচনের শর্তাবলি উল্লেখ করে পরিপত্র জারি করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। বৃহস্পতিবার পরিপত্রটি জারি করা হয়। এ ছাড়া মন্ত্রী-এমপিসহ প্রার্থীদের আচরণবিধি পালনের বিষয়টি মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি তফসিল ঘোষণা হওয়ায় এখন জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ের প্রশাসনের কর্মকর্তাদের বদলির ক্ষেত্রে ইসির অনুমোদন নিতে হবে বলে জানিয়েছেন ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম।
নির্বাচন ভবনে ইসি সচিব সাংবাদিকদের বলেন, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ আইনে সুস্পষ্টভাবে বলে দেওয়া আছে- নির্বাচনকালীন কোনো বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের পূর্ব অনুমোদন নিতে হবে। সেখানে বলে দেওয়া আছে- জেলা প্রশাসক, বিভাগীয় কমিশনার, মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারসহ কয়েকজন এবং তাদের অধস্তনদের বদলির ক্ষেত্রে কমিশনের পূর্ব অনুমোদন নিতে হবে। তবে কমিশনের আওতায় চলে আসবে, অধীন আসবে- এ কথাটি কিন্তু আইনে বলা নেই।
জাহাংগীর আলম বলেন, তফসিল ঘোষণার আগে যদি বদলি বা পদোন্নতি করা হয়ে থাকে, সেটি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব। আইনে যে পদমর্যাদার কথা বলা আছে, সেই পদমর্যাদার বদলির প্রস্তাব যদি কমিশনে আসে কমিশন অনাপত্তি জ্ঞাপন করতে পারে, আপত্তিও জ্ঞাপন করতে পারে। তবে এখন পর্যন্ত এমন কোনো প্রস্তাব কমিশনে যায়নি বলে জানান তিনি।
তফসিলের পর মন্ত্রী-এমপিদের কার্যক্রম কী হবে, জানতে চাইলে জাহাংগীর আলম বলেন, নির্বাচন আচরণ বিধিমালায় সুস্পষ্ট বলা হয়েছে- নির্বাচনপূর্ব সময় বলতে তফসিল ঘোষণার দিন থেকে বলা আছে। নির্বাচনের ফল ঘোষণার সময় পর্যন্ত রাজনৈতিক দল এবং নির্বাচনী পদপ্রার্থীদের আচরণ বিধিমালা-২০০৮, অনুসরণ করতে হবে।
মন্ত্রী-এমপিদের প্রচার নিয়ে কোনো পরিপত্র জারি হবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, যেহেতু এটা আইনে আছে, সেহেতু প্রয়োজন নেই। প্রটেকশন হল নিরাপত্তা, আর প্রটোকল হল যিনি যে পদে যাবেন, সে পদ অনুযায়ী তিনি যতটুকু সম্মান পাবেন সেটা। ইসি সচিব জানান, প্রার্থী হতে স্থানীয় সরকারের মেয়র বা চেয়ারম্যানকে আগে পদত্যাগ করতে হবে।
আগাম প্রচারণার বিষয়ে ইসি সচিব বলেন, নির্বাচন যেদিন হবে, তার ২১ দিনের আগে কখনই প্রচার করা যাবে না। যেহেতু ৭ জানুয়ারি ভোট হবে, সেই হিসাবে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টার আগে থেকে প্রতীক বরাদ্দের দিন পর্যন্ত, এই সময়ে প্রচার চালাতে হবে। এ বিষয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় সংশ্লিষ্ট সবাইকে অনুরোধ জানিয়েছি, তারা তাদের মতো উদ্যোগ নেবেন।
এদিকে প্রার্থীদের ক্ষেত্রে যোগ্যতা-অযোগ্যতার বিষয়টি উল্লেখ করে জারি করা পরিপত্রটি প্রচারের জন্য রিটার্নিং অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসারকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এতে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের মেয়র ও চেয়ারম্যানদের প্রার্থী হওয়া- উপজেলা পরিষদ, জেলা পরিষদ, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এবং সিটি করপোরেশন, পৌরসভার মেয়রের পাশাপাশি বিভিন্ন সরকারি/স্বায়ত্তশাসিত, আধা-স্বায়ত্তশাসিত ও সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত অফিস/প্রতিষ্ঠানের বা করপোরেশন অথবা সংবিধিবদ্ধ সংস্থা, কর্তৃপক্ষ এবং বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশের মিশনগুলোয় চুক্তিভিত্তিক নিয়োগপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার জন্য পদ্ধতিগতভাবে পদত্যাগ করতে হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
নির্বাচনে প্রার্থীর যোগ্যতা ও অযোগ্যতাসংক্রান্ত বিধান ঃ সংবিধানের বিধান অনুযায়ী, বাংলাদেশের নাগরিক ও ২৫ বছর বয়স হলে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার যোগ্য হবেন। তবে আদালতে অপ্রকৃতিস্থ ও দেউলিয়া প্রামাণিত হলে; বিদেশি রাষ্ট্রের নাগরিকত্ব অর্জন বা আনুগত্য স্বীকার করলে; নৈতিক স্খলনজনিত কোনো ফৌজদারি অপরাধে দুই বছর বা তার বেশি কারাদণ্ডে দণ্ডিত হলে; ১৯৭২ সালের বাংলাদেশ যোগসাজশকারী (বিশেষ ট্রাইব্যুনাল) আদেশের অধীন কোনো অপরাধের জন্য দণ্ডিত হলে; প্রজাতন্ত্রের কর্মে কোনো লাভজনক পদে অধিষ্ঠিত হলে অথবা অন্য কোনো আইনে নির্বাচনের জন্য অযোগ্য হলে সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না।
প্রার্থীকে বাংলাদেশের যে কোনো নির্বাচনী এলাকায় ভোটার হতে হবে। দ্বৈত নাগরিকত্বের ক্ষেত্রে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা যাবে না। তবে বিদেশি নাগরিকত্ব ত্যাগ করে এলে নির্বাচনে অযোগ্য হবেন না। রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার, মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী বা উপমন্ত্রীর ক্ষেত্রে লাভজনক পদে অধিষ্ঠিত বলে গণ্য হবে না। প্রজাতন্ত্রের কর্ম বলতে অসামরিক বা সামরিক ক্ষমতায় বাংলাদেশ সরকার-সংক্রান্ত কর্ম, চাকরি বা পদ এবং সরকারের সংবিধিবদ্ধ যে কোনো কর্তৃপক্ষ, সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত বোঝাবে। প্রজাতন্ত্র বা সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানের চাকরি থেকে পদত্যাগ বা অবসর, অবসরের পর চুক্তিভিত্তিক নিয়োগে এবং বিদেশি রাষ্ট্র বা প্রতিষ্ঠানের অনুদানে পরিচালিত বেসরকারি সংস্থার কার্যনির্বাহী পদ থেকে পদত্যাগ বা অবসর বা পদচ্যুতির ক্ষেত্রে ৩ বছর ও দুর্নীতির কারণে চাকরিচ্যুত বা বাধ্যতামূলক অবসরের ক্ষেত্রে ৫ বছর অতিক্রম না হলে নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না।
এ ছাড়া কোনো সমবায় সমিতি এবং সরকারের কাছে পণ্য সরবরাহ করতে বা সরকারের কোনো চুক্তির বাস্তবায়ন বা সেবা কার্যক্রমে নিজ নামে বা ট্রাস্টি হিসেবে কোনো ব্যক্তি বা ব্যক্তিদের নামে বা তার সুবিধার্থে বা তার উপলক্ষে বা কোনো হিন্দু যৌথ পরিবারের সদস্য হিসেবে তার কোনো অংশ বা স্বার্থ রয়েছে, এ ধরনের চুক্তিতে আবদ্ধ হলে; ব্যক্তি এককভাবে বা কোনো কোম্পানির পরিচালক/অংশীদার হিসেবে ক্ষুদ্র কৃষিঋণ ছাড়া ঋণগ্রহীতা হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিলের দিনের আগে ঋণ বা তার কোনো কিস্তি পরিশোধে ব্যর্থ হলে; টেলিফোন, গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানি বা সরকারের সেবা প্রদানকারী কোনো সংস্থার অন্য কোনো বিল মনোনয়নপত্র দাখিলের দিনের আগে পরিশোধে ব্যর্থ হলে নির্বাচনে অযোগ্য হবেন। দি ইন্টারনাশনাল ক্রাইমস (ট্রাইব্যুনালস) অ্যাক্ট, ১৯৭৩ (অ্যাক্ট নম্বর ১৯ অব ১৯৭৩)-এর অধীন কোনো অপরাধে অপরাধী সাব্যস্ত হলেও নির্বাচন করতে পারবে না।
মনোনয়নপত্র জমার ক্ষেত্রে যা যা করতে হবে ঃ নির্ধারিত ফরমে প্রস্তাবকারী ও সমর্থনকারী স্বাক্ষরিত মনোনয়ন প্রস্তাব পৃথকভাবে মনোনয়নপত্রের সঙ্গে দাখিল করতে হবে। মনোনয়নে সম্মতি প্রদান করেছেন এবং তার সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার বা সদস্য থাকার কোনো অযোগ্যতা নেই মর্মে ঘোষণা দিতে হবে। কোনো প্রস্তাবকারী ও সমর্থনকারী অন্য কোনো মনোনয়নপত্রে প্রস্তাবকারী বা সমর্থনকারী স্বাক্ষর করেননি বলে ঘোষণা দিতে হবে। প্রার্থী তিনটির বেশি নির্বাচনী এলাকার জন্য মনোনয়নপত্র দাখিল করেননি বলে ঘোষণা দিতে হবে।
মনোনয়নপত্রের সঙ্গে যেসব দলিল সংযুক্ত করতে হবে ঃ স্বতন্ত্র প্রার্থীর ক্ষেত্রে, নির্বাচনী এলাকার ১ শতাংশ ভোটারের সমর্থন সংবলিত স্বাক্ষরযুক্ত তালিকা (তবে কোনো স্বতন্ত্র প্রার্থী আগে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে থাকলে এর দরকার হবে না)। নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের পক্ষে সভাপতি বা সাধারণ সম্পাদক বা সমপর্যায়ের পদাধিকারীর স্বাক্ষরিত মনোনয়নের প্রমাণিক (নিবন্ধিত দল প্রাথমিকভাবে একাধিক প্রার্থীকে মনোনয়ন দিতে পারবে)।
প্রতীক বরাদ্দের পর ব্যালট ছাপা ঃ ভোটের দিন সকালে নয়, তিন-চার দিন আগেই দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের ব্যালট পেপার জেলাপর্যায়ে পৌঁছে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের সচিব মো. জাহাংগীর আলম। তিনি বলেছেন, প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দের পর ব্যালট পেপার ছাপানোর কাজ শুরু করবেন তারা। ব্যালট পেপার জেলা পর্যায়ে চলে যাবে নির্বাচনের তিন-চার দিন আগে।
প্রসঙ্গত, ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া যাবে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত, বাছাই ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর। ভোটগ্রহণ হবে ৭ জানুয়ারি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ ক্যাটাগরিতে আরো সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ