• শুক্রবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৯:০১ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
জমি নিয়ে বিরোধের জের : বালিয়াকান্দিতে প্রকাশ্যে দিবালোকে ১০ লক্ষাধিক টাকার ফসল বিনষ্ট : থানায় অভিযোগ পাংশা প্রতিবন্ধী স্কুল : নানা অনিয়মের সত্যতা মিললেও দীর্ঘ৪ মাসেও কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি পাংশায় জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন উপলক্ষে অবহিতকরণ ও পরিকল্পনা সভা বালিয়াকান্দিতে ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন উপলক্ষে অবহিতকরণ ও পরিকল্পনা সভা টার্গেট ১ লক্ষ ৩৬ হাজার ২৩৪ শিশু : রাজবাড়ীতে জাতীয় ভিটামিন “এ” প্লাস ক্যাম্পেইন ১২ ডিসেম্বর সংসদ নির্বাচনে রাজবাড়ী-২ আসনের প্রার্থীর হলফনামা : জাকের পার্টির প্রার্থী মোহাম্মদ আলী নির্বাচন করছেন ২০৬০ টাকায় সংসদ নির্বাচনে রাজবাড়ী-২ আসনের প্রার্থীর হলফনামা : আইন পেশায় নিয়োজিত জাপার প্রার্থী শফিউল খান কৃষির উপর নির্ভরশীল সংসদ নির্বাচনে রাজবাড়ী-১ আসনের প্রার্থীর হলফনামা : তৃনমূল বিএনপি’র অপর প্রার্থী সুলতান ২১শত টাকা নিয়ে নির্বাচনী মাঠে সংসদ নির্বাচনে রাজবাড়ী-১ আসনের প্রার্থীর হলফনামা : তৃনমূল বিএনপির প্রার্থী দেওয়ান মজিবর রহমান কোটিপতি বালিয়াকান্দিতে গাঁজাসহ একাধিক মামলার ২ আসামী গ্রেপ্তার

আশুরা আমার দুঃখ আশুরা আমার কষ্ট

প্রতিবেদকঃ / ৯৪৩ পোস্ট সময়
সর্বশেষ আপডেট শনিবার, ২৯ আগস্ট, ২০২০

# নাসিম শফি #

He Placed the two seas, given the freedom to the great bodies, so they might meet next to each other.

And between them is a barrier so that none can transgress.

So which of the favors of your Lord would you deny ?

তিনিই দুইটি সাগর কে প্রবাহিত করিলেন দেখিয়া মনে হয় তাহারা মিলিত। তাহাতে আড়াল নেই একে অন্যকে ছাড়াইয়া যাইতে পারেনা।
তবে কি কি নিয়ামত মানব ও জ্বীনকুল তোমাদের রবের অস্বীকার করিবে আর ?
-(সুরা আর রহমান, আয়াত ঃ ১৯-২৩)

আরবীতে বাইরাইন অর্থে আলী (আঃ) ও মা খাতুনে জান্নাত, লু’লু অর্থে এমাময়েন-এ-হাসানঈন (আঃ)-
-(রাবী আনাস বিন মালেক)

কারবালায় ঘটনা আকষ্মিক ঘটে যাওয়া কোন ঘটনা নয়। দীর্ঘ ষড়যন্ত এর পিছনে কাজ করেছে।
মাবিয়া/ইয়াজীদ পন্থি মুনাফেকগণ রাজনৈতিক ক্ষমতার লোভে নবী পরিবারকে ধ্বংস করতে চেয়েছিল। হাদিস এবং ইতিহাস পর্যালচোনা করলে দেখা যায় কারবালার ঘটনা ছিল মূলত সত্যের ও অসত্যের, ধর্ম ও অধর্মের, মজলুম ও জালিমের, ইসলাম ও কুফুরের মধ্যে সংগ্রাম। ইসলামের নামে যা চলছে তা ইসলাম নয় এই বোধ শক্তি জাগাতে হলে নবী পরিবার (আহল এ বাইত) কে জানতে হবে। তাদেরকে ভালবাসতে হবে। বিশেষ করে যাদের কে আমরা দেখি নাই তাহাদের কে ভালবাসতে হলে তাদের আচার-ব্যবহার, রূপ-গুন, চাল-চলন, কথা-বার্তা, দান-ধ্যান, আকৃতি-প্রকৃতি, উদারতা-মহানুভবতা, যত জানা যাবে ততই ভালবাসা গভীর হবে। সেজন্যই রসুল (সাঃ) কে সঠিক ভাবে জানতে হলে তাহার আপনজনদেরকেও আমাদেরকে জানতে হবে।
আমাদের মনে রাখতে হবে যে আশুরা শুধু শিয়াদের দিবস নয়।

There is no Sunni or Shia when it’s comes to the tragedy of karbala. you are either with Imam Hussain  (AS) or you are with his killers.

এই দিবসটির প্রকৃত মূল্যায়ন করতে হলে হযরত ইমাম হুসাইন (আঃ) তথা আহলে বাইত এর প্রকৃত শান, মান, মর্যাদা, কি তা জানতে হবে। কোরআন ও হাদিস শরীফে এই ব্যাপারে কি উল্লেখ আছে তা জানতে হবে এবং হৃদয় বিদারক ঘটনার পিছনে আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কি রহস্য নিহিত আছে তা অনুধাবন করতে হবে। তবেই সুন্নি সম্প্রদায় বুঝতে পারবে দিবসটি কেন আমাদেরকে অধিক গুরুত্ব সহকারে পালন করা উচিত।
সেদিন যদি ইমাম হুসাইন (আঃ) অন্যায়কারী, ব্যাভিচারী, পাষন্ড, মদ্যপ ও সৎ মায়ের সঙ্গে জেনাকারী ইয়াজিদের নিকট নিজে পরিবার ও বন্ধু-বান্ধবকে রক্ষা করার জন্য বশ্যতা স্বীকার করতেন তাহলে দুনিয়ার বুকে উদাহরন সৃষ্টি হয়ে যেত যে জীবন রক্ষার জন্য ইয়াজিদের মত লোকের কাছে বশ্যতা স্বীকার করা দোষের কিছু নাই।
এই জন্যই গরীবে নেওয়াজ খাজা মঈনুদ্দীন চিশতী (রাঃ) বলেছেন,
“শাহ আস্ত হোসাইন, বাদশাহ আস্ত হোসাইন,
দ্বীন আস্ত হোসাইন, দ্বীন পানাহ আস্ত হোসাইন
ছেরদাদ ওয়া নাদাদ দস্ত দার দাস্তে ইয়াজিদ
হক্কাকে বেনায়ে লা ইলাহা আস্ত হোসাইন”
অর্থাৎ-
“হোসাইন সম্রাট, হোসাইন বাদশাহ,
হোসাইন ধর্ম, ধর্মের আশ্রয়দাতা হোসাইন।
মাথা দিলেন কিন্তু ইয়াজিদের হাতে হাত দিলেন না।
সত্য ইহাই যে, লা ইলাহার বুনিয়াদই হোসাইন।”
আশুরার এই ঘটনার মধ্যে মহান রাব্বুল আলামিনের ইচ্ছা ছিলো অনেক গুলি উদ্দেশ্য সাধন করানো।
১) বিশ্ব বাসিকে দেখানো যে অন্যায়ের বিরুদ্ধে ন্যায় ও সত্যের সংগ্রামে কোন আপোষ নাই।
২) ইসলাম ধর্মকে রক্ষা ও প্রতিষ্ঠিত করা।
৩) ইমাম হোসাইন (আঃ) কে সাইয়েদুস শুহাদা বা শহীদের সর্দার রূপে প্রতিষ্ঠিত করা।
৪) নবী মোহাম্মদ (সাঃ) এর উম্মতের জন্য রোজ কেয়ামতে মুক্তি বা নাজাতের উছিলা।
যিনি কারবালার প্রজ্বলিত অগ্নিশিখার সম প্রখর মরুভূমিতে ঘুমাইয়াছেন, ক্ষুধার্ত ও পিপাসার্ত থেকেও ন্যায় সত্যকে বিসর্জন দেননি, তিনিই হুসাইন।
যিনি রক্তে পৃথিবীর যাবতীয় পাপরাজিকে ধৌত করেছেন, নিজ দেহ মুবারকের শেষ রক্ত বিন্দু কারবালার ধুলিকনায় মিশিয়ে দিয়ে তার নানাজানের উম্মতদের দুনিয়ার বুকে সুপ্রতিষ্ঠিত করে গেছেন, তিনিই হুসাইন।
আমাদের আধ্যাতিক পিতা ইব্রাহীম (আঃ) নিজ পুত্রকে কুরবানী করিতে উদ্যত হয়েছিলেন। বাস্তবতঃ সে কুরবানী করিতে হয় নাই। আর হুসাইন ইবনে আলী তার ভাই, বন্ধু, সহচর, শিশু-কিশোর, যুবক পুত্রদেরকে একে একে ধর্মের জন্য, দ্বীনের জন্য, তার নানাজানের উম্মতদের কল্যানের জন্য জবেহ করাইয়া দিলেন।
শোকাত, ক্ষুধার্ত, পিপাসার্ত, দেহমন জর্জরিত একাকি হুসাইন সকলের লাশ অতি সন্তর্পনের তাহাদের মুখের ধুলা-বালি মুছাইয়াছেন। এবং তাবু সন্নিকটে শোকাছন্ন পুত্রহীন মাতা, স্বামী হারা জায়া, ভাতৃহারা ভগ্নীর সম্মুখে শোওয়াইয়া দিয়াছেন।
সর্বশোকে কাতর থেকেও যিনি রোদন করনেনি তিনিই হুসাইন। সর্বপেক্ষা অত্যাচারিত, জর্জরিত, ব্যাথিত, বেদনাহত তথাপি তিনি অভিষাপ দেননি। সবকিছু হারিয়েও যিনি কিছুই হারাননি তিনিই হুসাইন। সত্যকে, ন্যায়কে গনতন্ত্রকে, দ্বীনকে উচ্চতম শিখরে সুদৃঢ়ভাবে যিনি স্থাপন করেছেন তিনিই হুসাইন।
হুসাইন (আঃ) পৃথিবীর বুকে ইসলামকে চিরস্থায়ী করার জন্য নিজ পরিবারের ৭২ জন ও ১৪০ জন সঙ্গি সাথি নিয়ে কারবালার প্রাঙ্গনে ১০ই মহরম আশুরায় শহীদ হন। এই হত্যাকান্ড সংগঠিত হয় মাবিয়া পুত্র লম্পট ইয়াজিদের প্রত্যক্ষ নির্দেশনায় (লাতন তাদের হন্তার পর হে আলী মুরতযা আলাইহিস সালাম)।
আমাদের প্রিয় নবীজি দুই ইমাম পাক হযরত হাসান ও হযরত হুসাইন (আঃ) কে অত্যাধিক মহব্বত করিতেন। কিন্তু এ শুধু রক্তের কারনে নয়। এর পিছনে তাদের শান-মান, অতি উচ্চ মর্যাদা, আল্লাহপাকের নিবির গুঢ় তত্ব লুকিয়ে আছে।

The Son of Fatima Saved the La Ilaha Ila’llah

১) ‘হোসাইন মিননি ওয়া আনা মিনাল হোসাইন’
অর্থাৎ- হোসাইন আমা হতে এবং আমি হোসাইন হতে।
(

(Hossain from me and I am from Hossain. Allah loves who loves Hossain)

-Prophet Muhammad (PBUH)

)
২) কিতাব এ শেফাতে নবী (সাঃ) হাসান ও ইমান হুসাইন এর শানে বর্নিত আছে ‘আয় আমার পালনকর্তা আমি এই দুই জনকে ভালবাসি। তুমি এই দুই জনের সঙ্গে দুস্তি রাখ’। আরও ফর্মাইয়াছেন ‘যে ইহাদের সঙ্গে দুস্তি রাখে সে আমারই সঙ্গে দুস্তি রাখে। যে ইহাদের সঙ্গে হিংসা বিদ্বেষ রাখে সে আমার সঙ্গে হিংসা বিদ্বেষ রাখে। আর ফাতেমা আমার জিগরের টুকরা- যে ব্যাক্তি তাহাকে কষ্ট দিলো, সে আমাকে কষ্ট দিলো। (ইয়োনাবিয়ুল মোওয়াদ্দত, পৃষ্ঠা-২৫৭/২৬৪)।

৩) হযরত সালমান ফারসী (রঃ) বলেছেন- নবীজি (সাঃ) হযরত হুসাইন (আঃ) কে লক্ষ্য করে আমাদেরকে বলেছেন, ‘তিনি সৈয়দ, তিনিই সৈয়দের পুত্র, তিনিই ইমাম, তিনিই ইমামের পুত্র, তিনিই ইমামের পিতা, জমিনের বুকে যদি আমার প্রিয় ব্যাক্তিটিকে দেখতে চাও তাহলে হুসাইনকে দেখে নাও।’

৪) হযরত রাসুলে পাক (সাঃ) বলেছেন ‘আমার আহলে বাইয়াত নুহ (আঃ) এর কিস্তী তুল্য, যে ইহাতে আরোহন করলো সে মুক্তি পেলো যে আরোহন করেনি সে ধ্বংস হয়েছে’।
– মেশকাত

৫) হযরত রাসুলে পাক (সাঃ) বলেছেন, ‘আমি তোমাদের নিকট দুইটি জিনিস রেখে যাচ্ছি। যতদিন তোমরা এদেরকে আকরিয়ে ধরে থাকবে, ততদিন পথভ্রষ্ট কখনোই হবে না। ইহাদের একটি- আল কোরআন, অপরটি হচ্ছে ‘আমার আহলে বাইয়াত’।
– তিরমিযি/মেশকাত

৬) হযরত আয়েশা (রাঃ) বর্ননা করিতেছেন যে, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) সকাল বেলায় আমার কাছে তাশরিফ আনিলেন। তাহার জিসম মোবারক কাল রং এর পশমে বোনা চাদর শোভামান ছিল। হাসান বিন আলী আসিলে তিনি তাকে ঐ চাদরের মধ্যে ঢাকিয়া লইলেন, আবার ইমাম হুসাইন তাশরিফ আনিলেন, তাহাকেও চাদরের মধ্যে ঢাকিয়া লইলেন। তার পর জনাবা ফাতেমা ও জনাব আলী হাজির হইলেন। তাহাদেরকেও চাদরের মধ্যে ঢাকিয়া লইলেন এবং বললেন ‘এরাই আমার আহল এ বাইত। আল্লাহ তায়ালা এই এরাদা করিয়াছেন যে তোমাদের মধ্য হইতে নাপাক জিনিস দূরে রাখিবেন। আর তোমাদের এত পাক করিয়া দিবেন যত পবিত্রতা লাভ করা তোমাদের হক।’

৭) তিয়িযীমি হানী-বিন হানী হইতে তিনি হযরত আলী (আঃ) হইতে রেওয়ায়ত করিয়াছেন যে রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর পবিত্র সিনা হইতে মাথা মুবারক পর্যন্ত ইমাম হাসান (আঃ) এর বেশি সাদৃশ্য ছিল। আর ইমাম হুসাইন (আঃ) এর সাথে তাহার নিম্ন অংশের (বক্ষদেশ হইতে কদম মুবারক পর্যন্ত) বেশি সাদৃশ্য ছিল।
৮) হযরত জিবরাইল (আঃ) যখন প্রিয় নবীজি (সাঃ) এর সঙ্গে দেখা করতে আসতেন, তখন বেশির ভাগ সময়ই সাহাবি হযরত কালবী (রাঃ) বেশ ধরে আসতেন। হযরত কালবী সাধারনত একটি কালো জোব্বা গায়ে দিয়ে হুজুর (সাঃ) এর দরবারে হাজির হতেন। একবার হযরত জিবরাইল (আঃ) কালবী (রাঃ) সুরাতে সাক্ষাৎ করতে আসেন। দুই ইমাম পাক তাকে দেখে দৌড়িয়ে এসে জোব্বার পকেটে হাতিয়ে খুজতে লাগলেন। হযরত জিবরাইল (আঃ) আশ্চর্য হয়ে নবীজিকে বললেন, বাচ্চারা আমার পকেটে কি খুজছে? তখন রাসুলে পাক (সাঃ) বললেন, ‘তোমাকে দেখে ভেবেছে হযরত দাহিয়া কালবী এসেছে। উনি যখনি আসেন তখনই তাদের জন্য কিছু মেওয়া নিয়ে আসেন।’ তখন জিবরাইল (আঃ) ভাবলেন তার পকেটেতো কিছু নেই। তাই ইমামদ্বয় যেন কষ্ট না পান সেই জন্য তৎক্ষনাৎ হাত বাড়িয়ে বেহেস্তের বাগিচা হতে মেওয়া এনে ইমাম দ্বয়ের হাতে দিলেন।
একটা প্রশ্ন হয়তো আসতেই পারে যদি তাদের প্রতি মায়া মহব্বত এতো বেশি তবে কেন তাকে কারবালায় শহীদ করালেন ? শুধু তাই নয়, ঐ মহান আম্মাজির (মা ফাতেমা) কলিজার টুকরা হুসাইন (আঃ) এর দেহের উপর দিয়ে দশটি অশ্বকে দৌড়াইয়া উপর্যুপরি খুরাঘাতে ফাতেমার বাগিচার শেষ ফুলটিকে ছিন্ন বিছিন্ন কারবালায় মিশিয়ে দিলেন। কি তার অপরাধ ছিল? এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন যখনই ইমামাদ্বয়ের কোন ইচ্ছা বা আকাঙ্খা হয়েছে তৎক্ষনাৎ আল্লাহ পাক, নবীজি ও ফেরেশতাগন তা পূরন করেছেন।
কিন্তু কারবালায় হুসাইন (আঃ) পরিবারবর্গ ও সঙ্গিদের নিয়ে বিনা পানিতে থেকে শাহাদাত বরন করেন। যিনি ইচ্ছা করা মাত্র বেহেস্ত হতে পোষাক ও মেওয়া চলে আসে, প্রিয় নবীজি (সাঃ) এর নয়ন মনি, মা ফাতেমা (রাঃ) ও মাওলা মুশকিল কুশা হযরত আলীর কলিজার টুকরা কিভাবে পিপাশার্ত থাকতে পারেন? আওলাদে ইবরাহিমের পায়ের আঘাতে যখন জমজম কুপের সৃষ্টি হতে পারে তবে আওলাদে রসুলে পায়ের আঘাতে কি পানির ফোয়ারা কারবালায় হতে পারতো না? তিনি ইচ্ছা করলেই আল্লাহতায়ালাকে তার নানাজানের মতো বালি নিক্ষেপ অথবা উর্ধাকাশের আবাবীল পাখিকে পাঠাতে বলতে পারতেন এবং নিমিষেই ইয়াজিদ বাহিনী ধুলিস্যাৎ হয়ে যেত। তিনি ইচ্ছা করলেই ফুরাত নদী তার কাছে চলে আসতো, ফুরাতের কাছে তাকে যেতে হতো না।
কিন্তু তিনি কিছুই চাননি। কেন? তা জানতে হলে, আহলে বাইয়াত কে বুঝতে হবে। ইহার অন্তর্নিহিত উদ্দেশ্য কি তা বুঝতে হবে। সেদিন যদি প্রভু হোসাইন (আঃ) কোন অলৌকিক ঘটনা ঘটাতেন তবে কারবালার মূল উদ্দেশ্য সাধিত হতো না।
হযরত হোসাইন (আঃ) সর্ম্পকে তাই খাজা মঈনুদ্দীন চিশতী বলেন-
“হুসাইনের ঘোড়া ‘জুলজেনার’ পদধুলীর যোগ্যতাও আমার নেই, এবং তা বলতেও লজ্জাবোধ করি। অথচ আমি মঈনুদ্দীন সেদিন যদি কারবালার মরুভূমিতে একটি আঙ্গুলে খোঁচা দিতাম তাহলে, আল্লাহর কসম সঙ্গে সঙ্গে পানির নহর বয়ে যেতো।”
তিনি আরও বলেন, বোকারা বুঝতে পারেনি। ইমাম হুসাইন পানির পিপাসায় অসহায়ের মত শহীদ হননি তিনি আসল এবং নকলের ভাগটি পরিষ্কার ভাবে বুঝিয়ে দিয়েছেন।
আমরা অথবা ভবিষ্যৎ প্রজন্ম দুনিয়ায় থাকি বা না থাকি, হোসাইন (আঃ) চিরকালই থাকবেন।
(পৃথ্বিরাজ যখন আনা সাগরের পানি খাজা গরীবে নেওয়াজের জন্য বন্ধ করে দিয়েছিলেন তখন গরীবে নেওয়াজ হুনকার ছেড়ে বলেছিলেন ইয়াজিদের বাচ্চা তুই কি এটা কারবালা পেয়েছিস যে আমার পানি বন্ধ করবি? আমি তোর রাজস্থানের সমস্ত পানি আমার ঘটির মধ্যে তুলে নিলাম। কথিত আছে এর ফলে সমগ্র রাজস্থানের পানি শুকিয়ে গিয়েছিল, এমনকি মায়ের স্তন দুধও। রাজা পৃথ্বিরাজ চৌহান সর্ম্পকে আসল সত্যটা অনেকেই জানেনা। ঐ বীর অনেক নারীকে বিয়ে করেন, কিন্তু আপনি তার বিরুদ্ধে একটা কথাও বলতে পারবেন না। রামচন্দ্রের পরেই তারা সম্রাট পৃথ্বিরকে বন্দনা করে। যিনি মুহাম্মদ ঘোড়ীর নিকট পরাজিত হন। ঘোড়ী তাকে হত্যা করেন।)
৯) মহানবী (সাঃ) বলেছেন “ফা আন্তা মাআ আত্বারতা”
অর্থ -পরকালে তুমি তাহারই সাথী হবে। যাহাকে তুমি ভালবাস।”

১০) পবিত্র কোরআনে আল্লাহ পাক এরশাদ করেছেন
“ওয়ালা সাওকা ইউতিরু রাব্বুকা ফাতারাম”
(সুরা দোহা আয়াত-৫)
অর্থাৎ হে হাবীব আপনাকে আমি এতো বেশী দান করবো যে আপনি খুশী হয়ে যাবেন।
(লক্ষ্যনিয় যে আল্লাহ পাক চান প্রিয় হাবীব (সাঃ) এর সন্তষ্টি)

১১) ইন্না আতাইনা কাল কাউসার
-(সুরা কাউসার)
অর্থাৎ – হে হাবিব আপনাকে হাউজে কাউসার দান করা হয়েছে।

১২) ‘তোমরা কাফের হয়ে গেছ মুসলমান হওয়ার পর’
-(সুরা তাওবা-৬৬)

১৩) পবিত্র কোরআনে আল্লাহপাক ইরশাদ করেন
‘কুল্লা আস আলাইকুম আলাইহে আজরান ইল্লাল মুয়াদ্দাত ফিল কুবরা’

অর্থ – হে নবী আপনি বলে দিন এই ধর্ম প্রচারের জন্য আমি যে দুঃখ কষ্ট সহ্য করেছি ইহার বদলা আমি তোমাদের নিকট হতে কিছুই চাইনা। শুধু চাই আমার ঘরওয়ালা, নিকট আত্মীয় স্বজনদের (আহলে বাইয়েত) দের সাথে মহব্বত রাখবে।
(সুরা শুরা)

কারবালার প্রান্তরে ইমান হোসেইনকে হত্যা করতে দেরি হচ্ছে দেখে সেনাপতি আমর বিন সাদ সৈন্যদের বলেছিলেন যে হুসাইনকে তাড়াতাড়ি হত্যা করতে হবে যেন আছরের নামাজ কাজা না হয়।
হায়রে, এই নামাজের কি সার্থকতা?
ইমাম হোসাইন বলেছিলেন, তোমাদের মধ্যে কি একজনও কি মুসলমান নেই? তোমরা কি আমাকে চিনতে পার নাই? জেন রাখ, আমি তোমাদের সেই নবীজির দৌহিত্র ইমাম হোসাইন, যার উপর তোমরা দরুদ ও সালাম পাঠ কর। আজ দুনিয়ার লোভে পরে আমার বিরুদ্ধে অস্ত্রধারন করেছো। তোমরা কি আমার নানা জানের সুপারিশ পাওয়ার আশা রাখনা?

আমি তোমাদের হাউজে কাউসারের পানি পান করাবো। তোমরা নামাজের জন্য ব্যস্ত, কিন্তু বোঝনা আমাদের প্রতি দরুদ ও সালাম না পড়লে নামাজই হয় না।

১৪) রাসুল পাক (সাঃ) বলেছেন, হযরত ইমাম হাসান ও ইমাম হোসাইন জান্নাতের যুবকগনের সর্দার এবং হযরত ফাতেমা (রাঃ) মহিলাগনের সর্দার।
(মুসলিম/তিরমিযি)

১৫) সহি মুসলিম শরিফে আছে হযরত আনাস বিন মালিক হতে বর্ণিত আমি এবং মহানবী (সাঃ) একদিন মসজিদ থেকে বের হয়ে আসার সময় এক ব্যাক্তির সাথে দেখা হলে সে বললো হে আল্লাহ রসুল কেয়ামত কবে হবে?

জবাবে তিনি বললেন- কিয়ামতের জন্য তুমি কি সংগ্রহ করেছো?
সে ভয় পেয়ে আস্তে আস্তে বললো ইয়া রাসুলুল্লাহ আমি বেশি বেশি করে নামাজ, রোজা, সদকা, খয়রাত আদায় করতে পারিনি। কিন্তু আল্লাহ ও তার রাসুলেকে অন্তর থেকে ভালবাসি।
মহানবী বললেন-
“ফা আনতা মাআ আহবাবতা”
অর্থ- তুমি তারই সঙ্গি হবে যাকে তুমি ভালবাস।
বুখারী/মুসলিম

১৬) হযরত রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন- মুনাফেকরা আলীকে ভালবাসে না আর মুমিনগন তার সাথে দুশমনি করেনা।
(তিরমিজি)
১৭) হযরত আলী (রাঃ) বলেছেন- কোন মুমিনের হৃদয়ে আলী ও মুয়াবিয়ার ভালবাসা একত্রে বাস করতে পারেনা।

১৮) হযরত হাসান বসরি (রাঃ) বলেন মুযাবিয়ার পরকাল ধ্বংস হওয়ার জন্য ইহাই যথেষ্ট যে, সে ইয়াজিদকে তার উত্তরাধিকার মনোনীত করেছে। তিনি আরও বলেন তার আখেরাত নিঃসন্দেহে ধ্বংস প্রাপ্ত। কারনঃ
ক) মুসলিম উম্মাহর বৈধ খেলাফতের বিরুদ্ধে অস্ত্র ধারন করার জন্য।
খ) আপন পুত্র ইযাজিদকে স্থলাতিষিক্ত করা। যে ছিল শরাবী ও লম্পট।
গ) জিয়াদ (তার পিতার জারজ সন্তান) কে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য আপন জন হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া ।
ঘ) রাসুল (সাঃ) এর প্রিয় সাহাবী হাজর বিন আদি (রাঃ) ও তার সাথীদের বিনা দোষে হত্যা করা।
যে ফুলের খুশবুতে সারা জাহান মাতোয়ারা

There is no other day like yours, O’ Hussain!

ক) আলী বিন ইব্রাহিম তাহার তফসিরে ইমাম জাফর সাদেক (রাঃ) হইতে রেওয়ারত করিরাছেনঃ
যে ব্যাক্তি আমাদের যিকির করিল বা তাদের হৃদয়ে হাসান হোসাইনের শোকের চক্ষুদ্বয় হইতে মশার পাখনার বরাবর অশ্রু ঝরিল। আল্লাহতায়ালা ওই ব্যাক্তির গুনাহগুলি বখশাইয়া দিন। যদিও ওই ব্যাক্তির গুনাহ সমুদ্রের জলরাশি হইতে বেশি হয়।

“ফুলটি তো মুহাম্মদ (সাঃ)
খুশবু তার আলী (রাঃ)
পাপড়ি মা ফাতেমা (রাঃ)
আর আতর হাসান – হুসাইন
ইহলোক পরোকালে এবং চিরকালে।”

খ) আল্লামা ইকবাল ইমাম হুসাইন (আঃ) এর শানে বলেছেন
“দর মিয়ানে উম্মতে আ কিওয়া জনাবে
হাম চু হরফে কুলহু আল্লাহু দর কিতাব
সিররে র্ইরাহিম ও ইসমাইল বুদ
ইয়ানি আজমালেরা তফসিলে বুদ
রমযে কুরাআ আয হুসাইন আমুখতমি
যে আতশে উ শোলা ছা আন দোখতিম”

অর্থ- হযরত ইমাম হুসাইন উম্মতে মুহাম্মদি (সাঃ) এর মাঝে ওই মর্যাদায় ভূষিত যেমন কোরআনে কুলহু আল্লাহু শরিফ।

হযরত র্ইরাহিম ও ইসমাইল (আঃ) এর ইমানী পরীক্ষার মূল রহস্য ও তিনি। কোরআনের অন্তর্নিহিত ও মর্ম হযরত হোসাইন (রাঃ) এর শাহাদাত হতেই পেয়েছি।
তারই প্রেমের অগ্নিকুন্ড হতে প্রেমের অগ্নিশিখা লাভ করেছি।
সত্যিই ইমাম হোসাইন এর মহব্বত ছাড়া কোন বুজুর্গিই হাসিল হয়না।

গ) জানে মান নেহারম বানায়ে হোসাইন
মানামে গোলম গোলমান হোসাইন
অর্থ- আমি আমাকে সম্পূর্ন উজার করে দিয়েছি
ইমাম হোসাইন (রাঃ) এর পদতলে আমি কেবল তারই গোলাম
যে হয়েছে হোসাইনের গোলাম।
(খাজা মঈনুদ্দীন চিশতী)

ঘ) ‘হে হুসাইন যে কাজ তুমি আনজাম দিয়েছো
তা দিয়ে মোস্তফার বাগিচায় বসন্ত এনে দিয়েছো, কোন পয়গম্বর যে কাজ করার সুযোগ পায়নি।
খোদার কসম, হে হুসাইন তুমি সে কাজ সম্পূর্ন করেছো।
খাজা মইনুদ্দিন চিশতী (রা)

ঙ) আল্লামা নুরুদ্দিন আব্দুর রহমান জামী (রাঃ) বলেন
“মুহাম্মদ জানে আলম আসত জামী
ওয়া হোসাইন বিন আলী জানে মুহাম্মদ।

অর্থ- জানো কি জামী? সমস্ত জগতের জান হলেন মুহাম্মদ রাসুলুল্লাহ আর মুহাম্মদ (সাঃ) এর জান হলেন হোসইন ইবনে আলী (রাঃ)”

চ) হযরত আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত –
রাসুল পাক বলেছেন- যে ব্যাক্তি আমার পরিবারের উপর দরুদ শরীফ পড়েনা । শুধু আমার উপর পড়ে আল্লাহ পাক তা কবুল করবেন না।
দাবে কুতনী বায়হাকী

একটি দরুদ শরীফ আলেম উলামা ও আমাদের মত জনসাধারনের নিকট খুবই পরিচিত
বালাাগাল উলা বে কামালিহি
কাশাফাদ দোজা বে জামালিহি
হাসানাত জামিউ খেসালিহি
সাল্লু আলাইহি ওয়া আলিহি

উক্ত দরুদ শরীফের লেখক মাওলানা শেখ সাদী (রাঃ) তিনি প্রথম তিন লাইন লিখে চতুর্থ লাইন কিছুতেই লিখতে পারছিলেন না। অস্থির চিত্তে তিন দিন দুই রাত অতিবাহিত করিলেন। তৃতীয় রাত্রে তিনি নবী করিম (সাঃ) কে জিয়ারত করলেন। নবীজি (সাঃ) বললেন তুমি এত পেরেশান কেন? তিনি বললেন ইয়া রাসুলুল্লাহ আমি আপনার শানে একটি কবিতা লিখেছি। কিন্তু চতুর্থ লাইন কিছুতেই লিখতে পারছিনা। নবীজি পড়তে বললেন শেখ সাদী (রাঃ) পড়লেন। কবিতা খানি শোনার পর হুজুর পাক (সাঃ) বললেন তার পর লিখ
“সাল্লু আলাইহি ওয়া আলিহি“

অর্থ- তাঁর (নবীজির) উপর ও তার বংশধরগনের উপর সালাম।

Death with Dighity is better than a life of humilitian

  • Hussain Ibn Ali (As)

শাহাদাতের খবর
ক) “হযরত আয়েশা (রাঃ) বর্ননা করেন যে, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) একদিন জিবরাইল (আঃ) এর সঙ্গে ছিলেন। এমন সময় ইমাম হুসাইন (আঃ) আসিলেন। তিনি তাকে কোলে উঠাইয়া লইলেন। জিবরাইল (আঃ) বলিলেন ‘ইহাকে শিঘ্রই শহিদ করিয়া দিবেন’।
তিনি বলিলেন ‘কে শহিদ করিবে ?’

জিবরাইল (আঃ) ঃ আপনার উম্মত। আপনি অনুমতি দিলে ঐ জায়গাও আমি দেখাইয়া দিতে পারি’। তার পর কিছু লাল মাটি মুঠিতে হযরত (সাঃ) কে দেখাইলেন। তখন হযরত (সাঃ) বলিলেন, ‘তার পিতা মাতা কি জীবিত থাকবে?’
জিবরাইল বলিলেন- না।
-তার ভাই হাসান?
জিবরাইল বলিলেন – না
-তবে তার জন্য শোক দুঃখ প্রকাশ করবে কে?
হযরত জিবরাইল (আঃ) বলিলেন, ‘ইয়া রাসুলুল্লাহ (সাঃ), ইহার জন্য আপনি চিন্তা করিবেন না। আল্লাহপাক রোজ কেয়ামত পর্যন্ত একদল লোক দুনিয়ার বুকে পয়দা করিবেন, যাহারা আপনার হুসাইনের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেই চলবে।”

খ) রাসুলে পাক (সাঃ) একদিন ঘর থেকে বের হয়ে কোথায় যেন চলে গেলেন তাকে সাহাবিরা অনেক খুজতে লাগলেন সব শেষে নবীজিকে সেজদারত অবস্থায় এক পাহাড়ে পাওয়া গেল তিনি সেজদায় “ইয়া উম্মতি, ইয়া উম্মতি” বলে বেকারার হয়ে কাঁদছিলেন। সাহাবিরা অনেক চেষ্টা করেও তাকে থামাতে বা আনতে পারছিলেন না। তখন তারা বুঝতে পারলেন এক মাত্র মা ফাতেমাই পারবেন দয়াল নবীজিকে বাড়ী ফেরাতে। তারা মা-ফাতেমাকে খবর দিয়ে নিয়ে আসলেন। পিতার এ অবস্থা দেখে তিনিও সিজদায় পড়ে কাঁদতে লাগলেন। তবুও নবীজি মাথা তুললেন না দেখে মা ফাতেমা আল্লাহর উদ্দেশ্যে বললেন, “হে দয়াময়, আমার পিতার উম্মতের নাজাতের বদলে আমার আদরের হাসান ও হুসাইন কে তোমার রাহে সদকা হিসাবে কোরবান করে দিলেও যদি তুমি রাজি হও তবু আমার আপত্তি নেই। দয়া করে আমার এ কোরবানী তুমি কবুল কর। তবুও আমার পিতার উম্মতদেরকে তুমি মুক্তি দাও।”

এখানে প্রকাশ থাকে যে মা ফাতেমার দুই নয়নের মণির শাহাদাতের খবর রসুলে পাক (সাঃ) তার অন্তিম সময়ে মা ফাতেমা (রাঃ) কে জানিয়ে ছিলেন। মা খাতুনে জান্নাত তখন বলেছিলেন- যদিও আমি তখন দুনিয়াতে থাকবোনা, কিন্তু আমি কারবালায় যাব।

যেখানে আমার হুসাইনকে কতল করা হবে, সেখানে আমার চুল দ্বারা ঝাড়ু দেব কাঁটা, কংকর পরিষ্কার করবো যেন আমার হুসাইন মাটিতে পড়ে কাঁটা ও কংকরের আঘাত না পায়। এই বলে মা ফাতেমা বুক চাপড়িয়ে কাঁদতে লাগলেন এবং বললেন- ‘বাবা, আমার হুসাইনের জন্য কেউ কি কাঁদার থাকবে না?’
রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বললেন- “কেয়ামত পর্যন্ত আমার উম্মতরা তোমার হুসাইনের জন্য কাঁদতে থাকবে।”
“বিশ্ব দুলালী নবী নন্দিনী
খাতুনে জান্নাত ফাতেমা জননী।
হাসান, হুসাইন তব উম্মত তরে মাগো,
কারবালা প্রান্তরে দিলো বলিদান।
বদলাতে তার রোজ হাশরে,
চাহিবে মা মোর মত পাপীদের ত্রান।
কাজী নজরুল ইসলাম।

মেশকাত শরিফে আছে, মা খাতুনে জান্নাত যখন নবী করিম (সাঃ) এর খেদমতে উপস্থিত হতেন তখন প্রিয় নবীজি দাড়িয়ে যেতেন এবং তার হাত ধরে চুম্বন দিয়ে নিজ আসনে বসাতেন। এই হচ্ছে মা খাতুনে জান্নাতের মর্যাদা।

 “Hai Mahe Muharram to kayamat

Se Nahi Kam Shah Ka Karo

Matam

Hum Ummate Ahmad Pe Hai

Wajeb Ke Kare Gham Shah Ka

Karo Matam”

-Marsiya, , (হযরত ইরশাদ আলী আল কাদেরী)

“Remember me when the truth

becomes alone

Alone and sad!”

-Imam Ibn Ali

প্রার্থনা
আল্লাহপাক। তোমার মুহাব্বত আমার জীবিকা
কর আর তাহার মুহাব্বত আমার জীবিকা কর
যার মুহাব্বত তোমার দরবারে আমাকে লাভবান করাইবে।

লেখক : ব্যবস্থাপনা পরিচালক, প্রেস্টিজ গ্লোবাল।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ ক্যাটাগরিতে আরো সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ